অবশেষে মারা গেল সেই পিচ্চি শাহিন




 

অবশেষে মারা গেল সেই পিচ্চি শাহিন, মৃত্যুর আগে স্পষ্ট চিৎকার দিয়ে কিছু বলতে চেয়েছিলো ছেলেটি!

কিন্তুু ভেতরে ধীরে ধীরে নিথর হয়ে যাওয়া শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়েও সে বলতে পারেনি,সে হয়তো বলতে চেয়েছিলো এই সমাজকে,আমি অভিশাপ দিচ্ছি,সে হয়তো স্রষ্টাকে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলো,পৃথিবীতে পাঠাবেই যখন,এই রকম বিচার না পাওয়া সমাজে কেন পাঠিয়েছো

★ যে সমাজে ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই হয়।
★ প্রকাশ্যে রাস্তায় ফিল্মি স্টাইলে মানুষকে কুপিয়ে মারা হয়।
★ প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণ হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা।
★ প্রতিটি খাবার ভেজাল মিশ্রিত।
★ শিক্ষকের কাছে ছাত্রী নিরাপদ নয়
আরো কত কি।
এ কেমন সমাজ?
নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে ঘৃণা হচ্ছে, এই সমাজ আর মানুষ হয়ে উঠলোনা। মানুষগুলো আর মানুষ হলোনা।

যশোরের কেশবপুরের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে মা, ছোট ভাই বোনকে নিয়ে বসবাস করতো ছেলেটি। বয়স ১২ কি ১৩, একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে মা আর ছোট দুটো ভাই বোন নিয়ে কোন রকম চলে যেতো।

মাদকসেবি কিছু বখাটে তার রিকশাটিকে ছিনতাই করে নিয়ে যেতে চাইলে ছেলেটি বাঁধা দিলে তাকে কুপিয়ে জখম করে পৃথিবী সমান কষ্ট পেয়ে ছেলেটি মারা যায়।
-এর জন্য দায়ী কে?? প্রশ্ন রয়ে গেছে ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.