রূপসায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফ হোসেন সততার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

বি.এম.শহিদুল ইসলাম,খুলনা প্রতিনিধিঃ
রূপসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন রূপসা উপজেলায় যোগদান করেন ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর।আর এ সময়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্তস্থাপন করে ইতিমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতা ও মানবিকতার যুগান্তকারী পদক্ষেপ হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি করে দেওয়া। সেই আলোকে রূপসায় প্রথম ধাপে ৭২ টি পরিবারের জন্য ৭২ টি বাসস্থানের ব্যবস্থা ও দ্বিতীয় ধাপে আরও ২১৫ টি পরিবারের জন্য বাসগৃহ তৈরি করে মোট ২৮৭ টি পরিবারের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে ও তদারকিতে বিশেষ অবদান রেখে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন পিআইও মোঃ আরিফ হোসেন। সৎ সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকাণ্ডের এমন দৃষ্টান্তস্থাপন করেছেন তিনি। যে কারণে রূপসাবাসি ও উপজেলা প্রশাসন প্রকল্পের উন্নয়ন ও সঠিক বাস্তবায়নে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন এই কর্মকর্তা কে। তার সততা, কর্মদক্ষতা ও অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্রমান্বয়ে বদলে গেছে উপজেলার পিআইও শাখার প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উপজেলার প্রতিটি উন্নয়নের কাজকে বাস্তবায়ন করে উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে তিনি প্রতিটি প্রকল্পের কাজ স্ব- শরীরে পরিদর্শন করে সকল প্রকার উন্নয়নকে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। তার কার্যালয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত দ্বার হিসেবে পরিণত করে দেখেছেন পিআইও আরিফ হোসেন। বিশ্বব‍্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জাতি আজ বিপর্যস্ত। তখন রূপসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন তখন নিজের জীবনের কথা চিন্তা না করে রূপসার জনসাধারনের পাশে থেকে মানবতার ফেরীওলা হয়ে সর্বক্ষণিক সরকারী খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।
দাপ্তরিক কাজের বাহিরের সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান উপজেলার সব প্রান্তরের প্রকল্প স্পটে স্বচ্ছতা দেখভাল করতে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারিত থাকলেও জনগণের সেবার কারণে প্রয়োজনে সন্ধ‍্যার পর রাত অবধি অফিস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন সেবা নিজ তত্ত্বাবধানে মানসম্মত করতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা। উপজেলার মসজিদ -মন্দিরসহ কাবিখা, টিআর প্রকল্প গুলো সব সরজমিনে গিয়ে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত দেখে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিআই আরিফ হোসেন। তার এমন নজরদারির ফলে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার রূপসার প্রতিটি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট,ড্রেন, কালভার্ট । যে কারণে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সবার মাঝে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গুণের মানুষ। এ বিষয়ে নৈহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, এত ভালো নম্র-ভদ্র পিআইও অতীতে দেখিনি। তিনি অসহায় এবং গরীব মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অন্যায় এবং অসৎ ব্যক্তিদের কখনোই প্রশ্রয় দেয়নি। যার কারণে সাধারণ মানুষ তার প্রতি আস্থা পেয়েছেন। এক কথায় তিনি একজন সততা এবং কর্মদতার প্রতীক।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নের দপ্তরটি মানবসেবা ও উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের সরকার নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নেই,সুনির্দিষ্ট কোনো পরিধি নেই,জনগণকে সেবা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ‍্য। তবে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের এই আপদ কালিন সময় মানুষের পাশে আমাদের সর্বোচ্ছ দিয়ে দাঁড়িয়েছি । আমি ব্যক্তিগতভাবে ছকে বাঁধা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনগণের মঙ্গল হয়, ভালো হয় সেটাই করার চেষ্টা করছি। তবে খুলনা-৪ সাংসদ আব্দুস সালাম মূর্শেদী স‍্যার,খুলনা
জেলা প্রশাসক স্যার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স‍্যার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিটি কাজ করা সহজ হয় বলে মনে করি।
ক্লীন ইমেজের এই কর্মকর্তা মোঃআরিফ হোসেন যশোহরের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যশোহর জিলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ডিজেষ্টার ম‍্যানেজম‍্যানটে পড়াশুনা করেন। ঝিনেদাহ কোটচাঁদপুর থেকে তার কর্ম জীবন শুরু হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.