শাবিতে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু ১১ শিক্ষার্থী আটক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাব স্নাতক ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হতে আসা ১১ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে ভর্তি কমিটি।
তাদেরকে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকেও আটক করা হয়। মঙ্গলবার ৫ জন ও আজ বুধবার  ৬ জনকে আটক করা হয়।
দুই দিনে ১১ জনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন শাবির প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ।
জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম কৌশিককেও আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বগুড়া জেলার বৃন্দাবন পাড়ার আরিফ খান রাফি, এই জেলার শাহজানপুর উপজেলার মাঝিরা গ্রামের শাকিদুল ইসলাম, রহিমাবাদ গ্রামের আবিদ মুর্শেদ, বটতলার জাহিদ হাসান এবং রংপুর জেলার পাকমোড়ের রিয়াদুল জান্নাত।
প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার ‘বি-১’ ইউনিটের বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে আসলে তাদের আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। ৫ জনের মধ্যে ৩ জন জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন।
প্রক্টর বলেন, ‘এরা সকলেই বগুড়াকেন্দ্রীক একটি চক্রের সাথে ৫/৭ লক্ষ টাকায় চুক্তি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও রয়েছে। আমরা ধারণা করছি সেও জালিয়াতির মাধ্যমেই ভর্তি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘তারা প্রশ্নপত্রের সেট কোডে ওভার রাইটিং করে সকলেই ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্র মোতাবেক বৃত্ত ভরাট করেছিল। সেট কোডের ওভার রাইটিং এবং অভিন্ন সেট কোডে উত্তর এবং প্রাপ্ত নম্বর কাছাকাছি দেখে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা তাদের সনাক্ত করে রেখেছিলাম।’
এদিকে,বুধবার একই ইউনিটে ভর্তি হতে আসা আটককৃত ৬ জনকে জিঙ্গাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আজকে ৬ জনের মধ্যে ৩ জন জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে।’
রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
প্রসঙ্গত, ২৬ই অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টায় ‘এ’ ইউনিটের এবং আড়াইটায় ‘বি-১’ ও ‘বি-২’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ক্যাম্পাসসহ নগরীর মোট ৪৩টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ দিন চারটি পৃথক কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির দায়ে বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা আহসান আলী, ইব্রাহিম খলিল জীবন, মাহমুদুল হাসান, সাদ মো. শাহেল এবং ময়মনসিংহের মোহাইমিনুল ইসলাম খানকে ডিজিটাইল ক্যালকুলেটরেসহ আটক করা হয়েছিল। তারাও ৭৫ নম্বর সেট কোডের প্রশ্নপত্রের উত্তর করেছিল।
প্রক্টর বলেন, ‘আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা একই এলকার হওয়ায় এবং একই সেট কোডের প্রশ্নপত্রের বৃত্ত ভরাট করায় মনে হচ্ছে এরা একই চক্রের সদস্য। তদন্তের মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে।’
রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.