জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ এলাকায় , জনসেবায় ছুটে এলেন এমপি সালাম মূর্শেদী । দৈনিক জাতীয় খবর

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ এলাকায় , জনসেবায়  ছুটে এলেন এমপি সালাম মূর্শেদী ।

Avatar


নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঢাকা থেকে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে এলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। সুবিধাবঞ্চিত মানুষসহ নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে তিনি চালু করতে যাচ্ছেন এমপির পক্ষ থেকে খাদ্যদ্রবাদি সরবরাহ কার্ড প্রদান কর্মসূচি। গত তিন সপ্তাহে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার কর্মহীন ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে চালু করেছেন অসহায় মানুষদের খাদ্যসামগ্রী প্রদানে কল্যাণ তহবিল। যেখানে বিত্তশালীদের অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন করোনভাইরাস প্রথম যখন চীনে দেখা দেয়, তখন আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছুটে আসি। প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিন উপজেলা এলাকায় ঘুরেছি। তখন আমার একটাই স্লোগান ছিলো, সকলকে শহর ও গ্রাম পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। ওই সময় আমি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও মন্দিরসহ সব জায়গায় কোথাও ২০ পিস, আবার কোথাও ৪০ থেকে ৫০ পিস করে সাবান ও হ্যাক্সিসল দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এর প্রভাব যখন বিশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তখন আমার তত্ত্বাবধানে ৩০ হাজার মাস্ক দিয়েছি। বিভিন্ন ঘাট পারাপারের যাত্রীদের ব্লিচিং পাউডার দিয়ে হাত পরিস্কার করার ব্যবস্থা করেছিলাম। এমনকি পরিস্কার-পরিছন্ন থাকার জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে ভাতা দিয়ে চলেছেন। এই করোনাভাইরাসের কারণে তিনি আরো ভাতা বাড়িয়েছেন এবং খাদ্যসামগ্রীও বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের দলীয় যেসব নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, বিশেষ করে চেয়ারম্যান-মেম্বররা তা সুন্দরভাবে বন্ঠন করছেন। এটা আরো সুন্দরভাবে বন্ঠন করা এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষই যাতে পায় সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমি ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি। যে সময়টিতে আমার পরিবার বা এলাকার মানুষও আমার উপস্থিতি প্রত্যাশা করেনি। তারপরও আমি এসেছি।
এমপি সালাম মূর্শেদী বলেন, সরকার যেটি দিচ্ছে তারপরও কিন্তু অনেক মানুষ বাদ থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে শহরের পাশে আমার নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় এখানে অনেক শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে। এদেরমধ্যে নৌকা-ট্রলার মাঝি, ভ্যান-রিকসা-অটো চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সবাই এখন কর্মহীন রয়েছে।
এছাড়া আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত অনেক পরিবার রয়েছে, যারা কারো কাছে বলতেও পারেনা, চাইতেও পারেনা। তাদেরও একটা বড় অংশ রয়েছে। তা’ছাড়া এখানে রয়েছে দলিত সম্প্রদায়, হিজড়া ও নরসুন্দর (নাপিত) সম্প্রদায়। আমি কিন্তু তাদের বেছে নিয়েছি। গত তিন সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকার ১০হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।
তিনি বলেন, খাদ্যসামগ্রী প্রদানে এখন পলিসিগত একটা পরিবর্তন এনেছি। এখন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি গ্রাম করা হবে। সেখানকার বিত্তশালী এবং সরকারি সুবিধাপ্রাপ্তদের বাদ দিয়ে বাকীদের তালিকাভূক্ত করে প্রত্যেককে একটি করে কার্ড দেয়া হবে। যেটি থাকবে সংসদ সদস্য’র পক্ষ থেকে খাদ্যদ্রবাদি সরবরাহ কার্ড। এটা কোন ত্রান বা অন্য কিছুই না। এই কার্ডটি ধারাবাহিকভাবে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। যাদের অতীতে দিয়েছি এবং বর্তমানেও দিচ্ছি তাদের সকলের কাছে এই কার্ড পৌঁছে যাবে। আমরা যারা মুসলিম ধর্মাবলম্বি রয়েছি তাদের সামনে সব থেকে বড় এবাদতের সময় রমজান মাস রয়েছে। ওই সময়ও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এমনকি করোনা পরিস্থিতি যদি আরো দীর্ঘায়ীত হয় সেখানেও এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এমপি সালাম মূর্শেদী আরও বলেন , যারা আমাকে নির্বচিত করেছেন আমি তাদের কাছে ঋণি। তাই আমি এই দূর্যোগ মুহুর্তে আমার কাজ হলো সেই ঋণ পরিশোধ করা। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে আমি নেমেছি। আমার একঝাঁক দলীয় নেতাকর্মী সবাই আমাকে সহযোগিতা করছে। সমাজের অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি রয়েছে, যারা যাকাত দিয়ে থাকেন। তারা যাকাতের ওই টাকা আমার ফান্ডে জমা দেন। আমি অবশ্যই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবো।

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.