ডা. সাবরিনার বয়ফ্রেন্ডের তালিকা প্রাকাশ্যে (তালিকা সহ) দৈনিক জাতীয় খবর

ডা. সাবরিনার বয়ফ্রেন্ডের তালিকা প্রাকাশ্যে (তালিকা সহ)
ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখন সারাদেশ জু’ড়ে সবথেকে বেশি আলোচিত নাম’গুলোর একটি।
জেকেজি কেলে’ঙ্কা’রির পরেও প্রায় ১ মাস যাবত সাবরিনা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, অফিস করেছেন। অবশেষে গণমাধ্যমের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে আ’টক হতে হয়েছে।
পুলিশ আজ তাঁকে আদা’লতে হাজির করিয়েছে এবং তাঁর জন্য আদালত ৩ দিনের রি’মান্ড মজুর করেছেন।প্রশ্ন উঠেছে যে,
জেকে’জি হেলথ কেয়া’রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী গ্রে’প্তার হওয়ার পরেও সাবরিনা কিভাবে এতদিন ধরা’ছোঁয়ার বাইরে থাকলেন এবং সাবরিনাকে যে এখন গ্রে’প্তার করা হয়েছে তাতে আদৌ কি সাবরিনা দোষী প্রমাণিত হবেন?
তাঁর বিচার হবে নাকি আইনের ফাঁক’ফো’করে তিনি বেড়িয়ে আস’বেন? এই প্রশ্নগুলো এই কারণেই উঠেছে যে, সাব’রিনার প্র’ভাব বলয় অনেক বড় এবং অনেক প্রভা’বশালীদের সঙ্গে তাঁর ঘ’নিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণেই সাব’রিনা এতদিন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।
অনুস’ন্ধানে দেখা গেছে যে, সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী একটি ইভেন্ট ম্যানে’জ’মেন্ট কোম্পা’নি পরিচালনা করতেন এবং সাব’রিনার সঙ্গে ঘ’নিষ্ঠ হওয়ার পরেই এই প্রতি’ষ্ঠানটি ফুলে’ফেপে ওঠে।
এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণা’লয়ের অধিকাংশ ইভেন্ট প্রায় এক’কভাবে করেছিল। যদিও ঐ প্রতি’ষ্ঠানটির এই ধরণের ই’ভেন্ট ম্যানে’জমেন্ট করার পূর্ব অভি’জ্ঞতা ছিলোনা।
অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, সাবরিনা এই সমস্ত কাজগুলো বাগিয়ে নেওয়ার জন্যে প্রভাব”শালীদের স’ঙ্গে ঘনি’ষ্ঠ হতেন, তাঁদের সঙ্গে সম্প’র্ক গড়তেন। সাব’রিনার বয়ফ্রেন্ডদের তালিকা বেশ দীর্ঘ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে আরিফ সাবরিনাকে বিয়ে করেছিলেন মূলত তাঁর ওভাল গ্রু’পের ব্যবসা প্রসারের জন্যে। কারণ সাবরিনার যে ধরণের যোগা’যোগ ছিল তা
ইভেন্ট ম্যা’নেজ’মেন্ট ব্যবসার জন্যে অত্য’ন্ত সহা’য়ক। এই হিসেব’নিকেষ করেই আরিফ সাব’রিনাকে বিয়ে করেন এবং সাব’রি’নার শর্ত ছিল যে এই এভে’ন্টগু’লো থেকে যে আয় হবে তাঁর একটি বড় অংশ ক’মিশন হিসেবে পাবেন।
জানা গেছে যে, সরকারের উচ্চ পর্যা’য়ের একাধিক কর্ম’কর্তার সঙ্গে সাব’রিনার তুমি-তুমি সম্পর্ক এবং তাঁরা সাব’রিনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠা’নে আম’ন্ত্রণ জানাতেন এবং সাবরিনা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন। এই সম’স্ত ব্যক্তি’রাই সাবরিনাকে কাজ পাইয়ে দেও’য়ার জন্যে তদবির করতেন।
যখন এই ও’ভাল গ্রু’পের পক্ষ থেকে জেকে’জি নামের একটি তথাকথিত স্বেচ্ছা’সেবী প্রতি’ষ্ঠান তৈরি করা হয়। কিন্তু এই প্রতি’ষ্ঠা’নকে করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষে’ত্রে অনু’মতি পাইয়ে দেও’য়ার ক্ষেত্রে সাবরিনা গুরু’ত্ব’পূর্ণ ভূমি’কা পালন করেন।
এখন পর্যন্ত সাব’রিনার সঙ্গে সম্প’র্কের বিষয়ে একজন প্রভা”বশালী চিকিৎ’সকের নাম উঠে এসেছে, যিনি স্বাচিপের নেতা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসোসিয়েশনের যুগ্ন মহাসচিব।তিনি বিএমএ-এর এক’জন উর্ধ্ব’তন কর্মকর্তা।
কিন্তু অনুস’ন্ধানে দেখা গেছে যে, এই উর্ধ্বতন কর্ম’কর্তা সাব’রিনাকে শুধু পেশা’গত জীবনে সহায়তা করেছেন।
অর্থাৎ তাঁকে জাতীয় হৃদ’রোগ ইন্সটি’টিউটে পোস্টিং পাইয়ে দিতে এবং অফিস না করে অন্য ব্যবসা-বাণি’জ্য যেন দেখতে পারেন এবং সে ব্যা’পারে কেউ যেন তাঁকে প্রশ্ন না করতে পারে সে’সব ব্যাপা’রগুলো দেখা’শোনা করতেন।
কিন্তু একা’ধিক উর্ধ্ব’তন ব্য’ক্তির স’ঙ্গে সাব’রিনার গো’পন-প্র’কাশ্য সম্প’র্কের কথা জানা যায়। অনু’সন্ধানে দেখা গেছে যে,
সাবরিনা সরকা’রি চাকরি করলেও তিনি একা’ধিকবার ব্যক্তিগত কারণে বিদেশে গিয়েছেন। এই সমস্ত বিদেশ সফর’গুলো প্রভা’বশালীদের মনো’রঞ্জনের
জন্যে বলেই ধা’রণা করা হচ্ছে। কারণ সাবরিনা যখন যখন বিদেশ গিয়েছেন তখন একা’ধিক গুরু’ত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ঐ সময়ের আশেপাশে সময়ে বিদেশে গিয়েছেন।
এছাড়া সাবরিনা আ’রিফের বাড়িতেও অনেক গুরু’ত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যাওয়া-আসা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।একজন প্রভা’বশালী রাজ’নীতিবিদ যিনি পরিবার পরি’কল্পনা সে’ক্টরে অনেক বড় বড় ব্যবসা করেন তাঁর সঙ্গে’ও সাব’রিনার সখ্য’তার খবর পা’ওয়া যায় এবং সাবরিনা ঐ আও’য়ামী লীগ নেতার অফি’সে যেতেন বলে তথ্য-প্রমাণ পা’ওয়া গেছে।
এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মহলে তাঁর যো’গাযোগ ছিল। এই কারণেই এই সময়ে আরিফ গ্রে’প্তার হওয়ার পরেও সাব’রিনা গ্রে’প্তার হননি। এখন দেখার বিষ’য় যে, সাব’রিনার এই প্রভাব’শালী বয়’ফ্রেন্ডরা তাঁকে কিভাবে বাঁ’চায় বা আদৌ বাঁচাতে পারে কিনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.