অর্ধেক অংশ অকেজো রেখে সমাজ চলতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ফটো ঢাকা:
 নারীরা যত শিক্ষিত হবে সমাজ তত দ্রুত এগোবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্ধেক অংশকে অকেজো রেখে সমাজ সঠিকভাবে চলতে পারে না। রোববার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস- ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নারীরা যত শিক্ষিত হবে, নারীরা যত সাবলম্বী হবে সমাজ তত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে। কারণ সমাজের অর্ধেক অংশকে অকেজো রেখে দিয়ে একটি সমাজ সঠিকভাবে চলতে পারে না। সে সমাজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে।
প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতাসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে সফলতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
নারীদের নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ক্ষমতা জোর করে হয় না। ক্ষমতা নিজের যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হয়। কেউ হাতে তুলে ক্ষমতা দেয় না। ... সেভাবে আমাদের বোনদের নিজেদের তৈরি করতে হবে।'
শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জেন্ডার গ্যাপ আমাদের এখানে উল্টে গেছে। আমাদের এখানে শিক্ষায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, ছাত্রের সংখ্যা কম। পাসও করে তারা ভালো, রেজাল্ট করে ভালো। ছেলেরা কেন পিছিয়ে আছে। জেন্ডার গ্যাপ পূরণ করার জন্য আমাদের এখন সেদিকে নজর দিতে হবে।
ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 
আরও পড়ুন>>>ঘাবড়ানোর কিছু নেই, করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ইদানীং আমরা দেখি নারী ধর্ষণের বিষয়টা শুধু বাংলাদেশ বলে না, এটা বিশ্বব্যাপীই কিন্তু একটা সমস্যা। আমি মনে করি এখানেও আমাদের সচেতনতা দরকার।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে পুরুষদের বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরুষ শ্রেণি যারা তাদেরও একটু এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই নারী ধর্ষণকারীরাতো পুরুষরাই। পুরুষ সমাজের পক্ষ থেকেও আমরা চাই, তাদেরও সোচ্চার হতে হবে।
ধর্ষণকারীরা পশুরও অধম মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ ধরনের নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করে তারা যে একটা সমাজের সবচেয়ে জগণ্য... তাদের মানুষ বলতে ইচ্ছে করে না, বলতে ইচ্ছে করে পশুরও অধম। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের পুরো সমাজকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীরা সব সময়ই নারা ধরনের যন্ত্রণার শিকার হয়। সেটা আমরা দেখেছি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছি। সেভাবে বিভিন্ন আইনও করেছি। আইনগতভাবে আমরা সে ধরনের শাস্তির ব্যবস্থাও করেছি। তারপরেও অনেক সময় নারীদের ওপর নির্যাতন হয়।
অনুষ্ঠানে ৫ জনকে জয়িতা পদক দেওয়া হয়। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- আনোয়ারা বেগম, ডা. সুপর্ণা দে সিম্পু, মরহুমা মমতাজ বেগম, অরনিকা মেহেরিন ঋতু, সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি টেইলর। প্রধানমন্ত্রী এসব পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাতিসংঘ উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটেটিভ শকো ইশিকাওয়া।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.