সংসার সুখের হয় পুরুষের ইনকামে, রমণীর গুণে নয় । দৈনিক জাতীয় খবর

সংসার সুখের হয় পুরুষের ইনকামে, রমণীর গুণে নয়

Image may contain: 2 people

দৈনিক জাতীয় খবর

সংসার সুখের হয় পুরুষের ইনকামে – ‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে’ এতদিন এমনটা শুনে আসলেও এখন সময় এসেছে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার। একটি গবেষণায় জানা গেছে, সংসার টিকে থাকে পুরুষের রোজগারের ওপর। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসার টিকে থাকার পিছনে পুরুষের রোজগার এবং

তিনি কোন ধরনের চাকরি করেন ও মাসে কত উপার্জন করেন সেটিই বেশি প্রাধান্য পায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আলেকজান্দ্রা কিলোওয়াল্ড ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৩০০ দম্পতির তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে
২৫১ দশমিক ৮ শতাংশে। বিবাহ বিচ্ছেদের দিক দিয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। এখানে ৩০ জনের মধ্যে ৩ জনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে থাকে। যদিও বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আরো অনেক কারণ রয়েছে, তবে তার মধ্যে ৩০ শতাংশই পুরুষের অল্প রোজগার ও বেকারত্বের কারণেই হয়ে থাকে- এমনই তথ্য মিলেছে গবেষণায়। গবেষণায় আরো জানা যায়,
যেসব পুরুষরা পার্ট টাইম চাকরি করে তাদের ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের আশঙ্কা বেশি। কারণ তারা সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য সবসময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। যার প্রভাব তাদের বিবাহিত জীবনে পড়ে। অন্যদিকে, নারীর কর্মজীবন তার ব্যক্তিজীবনে সেভাবে প্রভাব ফেলে না। বর্তমানে অনেক নারীই ঘর ও অফিস দু’টোই সমানতালে সামলাচ্ছেন। তবে তাদের

অল্প রোজগার হলেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটার আশঙ্কা থাকে না। শুধু বিবাহিত দম্পতিই নয়, গবেষণায় উঠে এসেছে যারা প্রেম করছেন তাদের বিষয়ও। প্রতিবেদনটি জানানো হয়, একজন পুরুষ দেখতে যতই সুন্দর কিংবা স্মার্ট হোক না কেন একজন নারী প্রেম করার আগে অবশ্যই তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করবে।

এজন্য প্রথমেই চাকরির ধরনকে তার যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়, তারপর পারিবারিক বিষয়া। ৭৫ শতাংশ নারীই পুরুষের কর্মজীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.