ঢাকা থেকে কোলকাতা কিভাবে যাবেন? - :দৈনিক জাতীয় খবর
ঢাকা থেকে কোলকাতা কিভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে কোলকাতা তিন ভাবে যাওয়া যেতে পারে।
আমি কোলকাতা কে মেইন সেন্টার হিসাবে ধরে নিচ্ছি পরে আমি কোলকাতা থেকে কি করে অন্ন্য রাজ্জ্যে যাবেন তার আলাপ করবো।
১ঃ বিমান যোগে
২ঃ বাই রোড ( বেনাপোল হয়ে) এটাই সবচেয়ে সহজ ও কাছে হয়।
৩ঃ ট্রেনে কোলকাতা।
প্রথমেে বিমানে যানার কথাই বলি। বিমানে গেলে যাওয়া আসা ৮ থেকে ৯ হাজারের মতো ভাড়া পরবে। ঢাকা থেকে কোলকাতা এয়ারপোর্টে নামার পরে আপনি প্রি- পেইড ট্যাক্সি নিতে পারবেন এয়ারপোর্টে থেকেই ভাড়া পড়বে কম- বেশি ৫০০ টাকার মতো। যাবেন মির্জা গালিব স্টিট এ। সাধারণত বাংলাদেশীরা ওইখানেই থাকে।কারন পাশেই বাংলা হোটেল পাবেন এবং নিউমার্কেট।
এবার বাই রোড বেনাপোল হয়ে ভারত যাবার কথা বলি। ঢাকার বিভিন্ন যায়গা থেকেই বেনাপোল যাবার বাস পাবেন। ননএসি বাসের ভাড়া পড়বে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা আর এসি বাসের ভাড়া ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। বেনাপোল পৌছানোর পর আপনি ১০ টাকা দিয়ে বর্ডার যাবেন। ওই খানে যাওয়ার পর আপনি ৫০০ টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স কাটতে হবে।যা হয়তো ৫২০ টাকা নিবে কাউন্টারেে।( আপনি ঝামেলা এড়াতে চাইলে ঢাকার সোনালি ব্যাংক থেকে পরিশোধ করে যেতে পারেন।) তারপর আপনি প্রথম বার যেয়ে থাকলে দালাল আপনাকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করবে আর ভিবিন্ন বিষয় ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে। ইমিগ্রেশন করার পর হয়তো আপনাকে দুই বর্ডারেে বাংলাদেশ ও ভারতেে ১০০ করে ২০০ টাকা স্পিড মানি দিতে হতে পার। ২ ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ভারতের বর্ডার থেকে বিভিন্ন বাস পাবেন। মির্জা গালিব বা মারকিউস স্টিট পৌঁছাতে। ভাড়া পরবে ২৫০ থেকে ৩৫০ রুপির মতো। কিন্তু বাসে যেতে সময় লাগবে ৪/৫ ঘণ্ট। বিকল্প ব্যাবস্হায় আপনি যেতে পারবেন বর্ডার থেকে শেয়ারে অটোতে ৩৫ রুপি বনগাঁর রেলস্টেশনে যেতে। পরে স্টেশন থেকে ২৫ রুপি দিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনের টিকিট নেবেন। প্রতি ১ ঘন্টা পরপর ট্রেন পাবেন। শিয়ালদহ যেতে সময় লাগবে ১.৩০ থেকে ২ ঘন্টার মতো। লোকাল ট্রেন হওয়ায় এতে একটু ভিড় হতে পারে। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে ১০০ থেকে ১২০ টাকা ট্যাক্সি দিয়ে সোজা মির্জা গালিব স্টিট চলে যাবেন সময় লাগবে ৩০ মিনিটের মতো। আর হ্যা মাঝে বিরতি পাবেন তখন খাবার খেয়ে নিবেন।
৩. ট্রেনে যাবার জন্য আপনি কমলাপুর রেলস্টেশনে থেকে টিকিট কেটে নিেত পারেন। অবশ্যই এর জন্য আপনাকে পাসপোর্ট ও ইন্ডিয়ার ভিসা থাকা লাগবে। ট্রেনে যাএীর চাহিদা বেশি থাকায় যাএার মিনিমাম ১ মাস আগে টিকিট কাটা ভালো।অন্যথায় টিকিট নাও পেতে পারেন। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টিকিট কাটা গেলেও আপনার যাএা শুরু হবে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে। আর শেষ হবে কোলকাতার চিৎপুর স্টেশন। ওইখান থেকে আপনি প্রি-পেইড গাড়ির মাধ্যমে মির্জা গালিব স্টিট এ চলে যাবেন ভাড়া পড়বে কম-বেশি ৫০০ রুপি। সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা থেকে কোলকাতার ট্রেন যায়। ভাড়া পড়বে কম-বেশী দুই হাজার পাচঁশত টাকা। আর কোলকাতা থেকা সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা আসে। কোলকাতার ফেয়ারি প্যালেস থেকা ঢাকা আসার টিকিট পাবেন। ভাড়া পরবে কম-বেশি দুই হাজার রুপী।
হোটেলের পালা এইবার।
মির্জা গালিবে অনেক হোটেল পাবেন। মোটামুটি ভাড়া পরবে এক হাজার থেকা তিন হাজার রুপির মতো। হোটেল অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত হবে। বলে রাখা ভালো কোলকাতায় বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এইখানে থাকে। কেননা পাশেই অবস্থিত নিউ মার্কেট।
কি খাবেন?
মির্জা গালিব আর মারকুইস এ অনেক বাংলা খাবার রেষ্টুরেন্টে পাবেন। যেমন কস্তুরি, ধানসিঁড়ি, খালিক ছাড়াও নাম না জানা অনেক হোটেল।
আজ এই পযন্ত পরবর্তীতে কোলকাতা থেকে অন্যকোন রাজ্জ্যে যাওয়ায় বিস্তারিত আলাপ করবো।
ছবি ও লিখাঃ Mehadi Alam — in Kolkata - The City of Love.
কোন মন্তব্য নেই