চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের নতুন প্রস্তাব

 চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের নতুন প্রস্তাব



 4 ডিসেম্বর 2020 ঢাকা:  চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অসুবিধা উল্লেখ করে নতুন   বিনিয়োগ কে   সর্বোচ্চ  সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন বাংলাদেশ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ সংস্থার সি ই ও এবং বাংলাদেশ সরকারের সচিব সুলতানা আফরোজ ।সদ্য সমাপ্ত 13 তম ইন্টার্নেশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট এন্ড কনস্ট্রাকশন ফোরামে তার   বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার  3 ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়া আন্তর্জাতিক এই ফোরাম শুরু হয়েছিল 1 ডিসেম্বর । চায়না ইন্টার্নেশনাল  কন্ট্রাকটরস  অ্যাসোসিয়েশন এবং ম্যাকা     ট্রেড এন্ড  ইনভেস্ট ম্যেন  প্রমোশন ইনস্টিটিউট যৌথভাবে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমর্থনে ডিজিটালভাবে এই ফোরামের আয়োজন করে।   ফোরামে সুলতানা আফরোজ বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। গত 10 বছরে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি  সাত শতাংশ । 2018- 19 অর্থবছরে 8.12 শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।   বৈশ্বিক মহামারীর   মধ্যেও  2019- অর্থবছরে বাংলাদেশ 5.2 শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জুলাই,  2020 নাগাদ রেকর্ড পরিমাণ 37. 18 বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ পৌছায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আদর্শ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি সবচেয়ে  উদার। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আমরা বেশ কিছু করেছি যা অত্যন্ত সুবিধাজনক। শাখা অফিস স্থাপন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, বিদেশি বিনিয়োগকে আইনগত সুরক্ষা দান,  উদার করনীতি ,অবাধ বহির্গমন নীতিহল সুবিধাজনক নীতিমালার কয়েকটি উদাহরণ। পিপিপি( পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) প্রকল্পসমূহেবাংলাদেশ সরকার আরও বেশ টিস্যু সুবিধা দিচ্ছে। প্রকল্পের জন্য জমি, প্রকল্পের প্রয়োজনীয় মেশিনারিজে আমদানি কর মওকুফ,  স্টপ  ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন ফির ক্ষেত্রে    ছাড় হল কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। স্থানীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগকারী ও জনগণ দু'পক্ষেরই জয়সূচক অবস্থা থাকবে। বর্তমানে পিপিপি কার্যালয় থেকে  79 কি সহায়তা দেওয়া  হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা,পরিবহন, তথ্যপ্রযুক্তি, নাগরিক আবাসন, শিপিং ,সামাজিক অবকাঠামো, খাদ্য এবং পর্যটন খাত।এছাড়াও সরকারি পর্যায়ে অংশীদারিত্বে স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ উপ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠিত সমূহ রয়েছে যারা এসব প্রকল্পে কাজ করতে সক্ষম। চিনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রকল্প প্রণয়ন, উৎপাদন এবং অংশ কার্যকর করতে পারে। অন্যদিকে চীনা প্রতিষ্ঠান তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায়  উপ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ও বাস্তবায়নের কাজ করতে পারে।উন্নত প্রযুক্তির যোগাযোগের ফলে এই কাজ আরো সহজ সাধ্য হচ্ছে।অনলাইন কমিউনিকেশন ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বিশ্বের দেশগুলোতে আরো কাছাকাছি এনে দিচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিয়া এখন সময়ের দাবি।

ফোরামে  আয়োজকরা সুলতানা আফরোজের বক্তব্যের প্রশংসা করেন।

সুলতানা আফ্রজ এবং অন্য অংশগ্রহণকারীরা এই ফোরামে অনলাইন মাধ্যমে অংশ  নেন।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.