রূপসা ঘাট পারাপারে মাঝিদের দূর্ব্যবহার চরমে, আত্নসম্মানের ভয়ে যাত্রীরা নিরব
রূপসা ঘাট পারাপারে মাঝিদের দূর্ব্যবহার চরমে, আত্নসম্মানের ভয়ে যাত্রীরা নিরব
, খুলনার রূপসা ঘাটের ট্রলার মাঝি ও ট্রলারের টাকা আদায়কারীদের দৌরত্ব বেড়েই চলেছে। তারা প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করে যাচ্ছে। নানা অযুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মানসম্মান নিয়ে ফিরে আসা দায় হয়ে পড়ে।মাঝিরা একসাথে সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে ক্ষেপে ওঠে। সরেজমিন ও যাত্রীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে ডিসি অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তার পরিবারের দুইজন ভদ্র মহিলা নদী পারাপারের সময় লাঞ্চিত হয়েছে। এক মাঝি চরম কড়া স্বরে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর কথা বললেও আত্নসম্মানের ভয়ে কোন প্রতিবাদ না করে নিরবে সহ্য করেন এবং বৃদ্ধা মহিলার কষ্ট হলেও ওঠে দাঁড়িয়ে নদী পার হন। তাদের অপরাধ ছিল বৃদ্ধা এক মহিলা ও তার সাথে থাকা অন্য এক মহিলা (শামিমা খাতুন) নৌকার পাটাটানের উপর বসেছিল। নৌকায় বসে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। বসে যেতে হলে নৌকা রিজার্ভ করে নিতে হবে। একই নৌকায় মংলা থেকে আসা সোলায়মান নামে এক যাত্রী একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় দূর্ব্যবহারের শিকার হয়। মাঝি কর্কশ ভাষায় ব্যাগটি পাটাটানের উপর রাখতে বললে তিনি না রাখায় চরম দূর্ব্যবহারের শিকার হন। পরপর দু’জনের সাথে খারাপ আচারণ করতে দেখে রূপসার এক সাংবাদিক ওই মাঝিকে যাত্রীদের সাথে একটু ভাল ব্যবহার করা উচিত বলতেই রেগে চরম খারাপ আচারণ শুরু করেন। তখন তিনি ওই মাঝির ছবি তুললে দাম্ভিকতার স্বরে বলে, পারলে কিছু করেন। এধরনের ঘটনা আজ নতুন নয়। প্রায় প্রতিদিন যাত্রীদের সাথে খারাপ আচারণ করার ঘটনা ঘটে চলেছে। একাধিক যাত্রীর এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কোন ঘোষনা ছাড়াই রাত ৮টা বা সাড়ে ৮টার পরে যাত্রীদের থেকে ভাড়া ৩ টাকার স্থলে ৫ টাকা করে নেয়। মাঝে মধ্যে দিনেও ভাড়া বেশি নেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে দুপুরের দিকে কোন কিছু না বলে নৌকায় যাত্রী ওঠায়। পরে ৫টাকা করে ভাড়া নেয়। কারণ জানতে চাইলে তেড়ে বলে, দেখেন না! অল্প (২০/২২) লোক নিয়ে নৌকা ছেড়ে দিয়েছি? অপমানের ভয়ে সকলে তখন নিরবে ভাড়া দিয়ে চলে যায়। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কে তাকে অল্প লোক নিয়ে নৌকা ছাড়তে বলেছে? এছাড়া নৌকায় ওঠানোর সময় যাত্রীদের বলা উচিত ছিল কিনা? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাঝি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারেজ আলী বলেন, যাত্রী ধীর গতিতে আসায় রাত ১০টার পরে অল্প লোক নিয়ে ট্রলার ছাড়া হয়। এজন্য ৫ টাকা করে নেয়া হয়। তবে কেউ যদি রাত ১০টার আগে টাকা বেশি নেয় বা কারো সাথে দূর্ব্যবহার করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
কোন মন্তব্য নেই