জগন্নাথপুরে ডিলারের সার পাচারকালে জনতার হাতে ১৭০ বস্তা আটক, কৃষকদের ক্ষোভ



জগন্নাথপুরে ডিলারের সার পাচারকালে জনতার হাতে ১৭০ বস্তা আটক, কৃষকদের ক্ষোভ মোঃরনি মিয়া জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি খুচরা সার বিক্রেতা ও ডিলার ধনেশ চন্দ্র রায়ের সার পাচারকালে স্থানীয় জনতা ১৭০ বস্তা সার আটক করেছেন। এ নিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে নানান নাটকীয়তা। তিনি বড় ডিলার হওয়ার সুবাদে বার বার সার পাচার সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে পার পেয়ে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স পলাশ ট্রেডার্সের মালিক ধনেশ চন্দ্র রায় স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের হাত করে দাপটের সাথে দির্ঘদিন ধরে সরকার কতৃক বরাদ্ধকৃত সার বিভিন্ন খোলা দোকানে বিক্রয় করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিবাগত রাতে রানীগঞ্জ বাজারের ফেরী ঘাটে নৌকা দিয়ে মাল লোড করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি জানতে পেরে নৌকার গতিরোধ করে রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার শেষ সিমানা বোয়ালীয়া বাজারের পাশে মালভর্তি নৌকা আটক করে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। ধনেশ রায় স্থানীয় ডিলার বুলবুল মিয়ার কথা বলে জনতার হাতে আটক হওয়া সার সহ নৌকা ছাড়িয়ে প্রায় ৭০ বস্তা সার দিরাই উপজেলার আকিলশাহ বাজারের এক দোকানে তুলে দেয়। পরে বোয়ালীয়া বাজারে বাকী সারগুলোর বস্তাও তুলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান মজুমদার ঘটনাস্থলে গেলে দিরাই উপজেলার মো.বুলবুল মিয়ার নামে একটি সার ক্রয় মেমো দেখানো হয়। মেমোর মধ্যে ২০০ বস্তা সারের কথা উল্লেখ থাকলেও নৌকায় মধ্যে ১৭০ বস্তা সার পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, এই সারের ডিলার ধনেশ রায়ের অনিয়ম ও সেচ্চাচারিতার কারণে কৃষকরা তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত সার সঠিক ভাবে পাচ্ছেনা ফলে কৃষকের জমিতে সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে পারছেনা। তাও অতিরিক্ত মুল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে। এ কারণে কৃষকদের কৃষি কাজ অনেকটাই ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর আগেও তার মাল একাধিকবার পাচারকালে ধরা খেয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির কারণে তাকে জেল হাজত সহ বার বার গুনতে হয়েছে জরিমানা। এদিকে মায়ের দোয়া পরিবহনের দায়িত্বে থাকা নৌকার লোকজন জানায়, সোমবার রাতে তারা ধনেশ বাবুর মাল লোড করে। এই মাল বিভিন্ন স্থানে দেওয়ার কথা ছিল। পরে আকিলশাহ বাজার ও বোয়ালীয়া বাজারে মাল রেখে আসা হয়। এই সারের বস্তা কার? প্রশ্ন করা হলে সে জানায়, এটা ধনেশ বাবুর মাল। অভিযুক্ত সার ডিলার মেসার্স ধনেশ চন্দ রায়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সার পাচারের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কেউ আমার কথা বলে থাকলে আমার কি করার আছে বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান মজুমদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সারগুলো যেখানে পাওয়া গিয়াছে সেটা দিরাই উপজেলার বিষয়। আমি সংবাদ পেয়ে গিয়েছিলাম তবে ধনেশ রায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ প্রতিয়মান হয়নি।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.