তেরখাদার চাল চুরি করে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া শহীদুলের ডিলারশীপ বাতিল । দৈনিক জাতীয় খবর



তেরখাদার চাল চুরি করে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া শহীদুলের ডিলারশীপ বাতিল

Image may contain: food

খুলনার তেরখাদায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল চুরির অভিযোগে বারাসাত ইউনিয়নের ডিলার মোঃ শহীদুলের ডিলারশীপ বাতিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এঘটনার পর ডিলার শহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ডিলার শহীদুল ইসলাম বারাসাত ইউনিয়নের বহুকার্ডধারীর চাল আত্মসাৎ করে বাজারে বিক্রী করে কালো টাকার পাহাড় গড়ছে। চাল চুরির কারবারি করে সে জিরো থেকে হিরো বনে গেছে। এক সময় তার সংসার চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। আর এখন তিনি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে। মোঃ শহীদুল ইসলাম কাটেঙ্গা গ্রামের আজি খাঁর একই পরিবারে ৩টি কার্ড দিয়ে মাত্র একটি কার্ডের চাল দেয়, এছাড়া একই গ্রামের সবুর বিশ্বাস. কুব্বাত মোল্যা. তানিয়া সুলতানা, শিখা বেগম. নুর ইসলাম, আলতাফ হোসেন, কামরুল ফকির, পানতিতা গ্রামের নিয়ামুল মিনা, ইসমাইল মিনাসহ প্রায় শতাধিক কার্ডধারীকে না জানিয়ে তাদের স্বাক্ষর/ টিপসহি জাল করে চাল আত্মসাৎ করে চলেছে। প্রতি ডিলারদের তদারকি করার জন্যে একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হলেও তারা নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে। সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই) লোক মারফত ডিলারদের চাল চুরির ঘটনা জানতে পেরে সরেজমিনে পরিদর্শনে তেরখাদায় আসেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন।

চাউল বঞ্চিতরা/কার্ডধারীরা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিকট সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন তাদের নামে কার্ড আছে তারা জানেনা।

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট শতভাগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১৬ মে লিখিতভাবে মোঃ শহীদুল ইসলামের ডিলারশীপ বাতিল করে দেন।

গোয়েন্দা সংস্থার এক উপ-পরিচালক জানান, প্রত্যেক ডিলারদের বিরুদ্ধে এরকম বহু অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, কার্ডধারীদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্যদের নামও তালিকায় আছে।

কাটেঙ্গা গ্রামের কার্ডধারী আজি খা জানান, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার পরিবারে ৩টি কার্ড আছে। কিন্ত আমি জানি আমার পরিবারে মাত্র একটি কার্ড আছে। তিনি বলেন আমাকে শুধু এক মাস দুই মাস পর পর চাল দেয়।

নিয়ামুল বলেন, আমি কোনোদিন চাউল পাইনি। একই ভাবে সবুর বিশ্বাস, শিখা বেগম, কুব্বাত মোল্যা, দীন ইসলামসহ অনেকেরই চাউল ডিলার শহীদুল আত্মসাৎ করে কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, চাউল আত্মসাৎের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মোঃ শহীদুল ইসলামের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.